চট্টগ্রামে ২৮ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিকদের আটটি সংগঠনের নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তাঁরা। এ মামলা পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন তাঁরা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এতে অন্য আসামীদের সাথে একাধিক সাংবাদিক নেতাসহ জাতীয় ও স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মোট ২৮ জন সাংবাদিককে আসামী করা হয়।
- বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি শহীদ উল আলম,
- চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক,
- চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম,
- বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী,
- চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি খোরশেদ আলম ও সম্পাদক যীশু রায় চৌধুরী,
- চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা ও সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা,
- চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী,
- বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম-এর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলতাফ,
- টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিব ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম মামুন
এক যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বিরূদ্ধে এ ধরণের মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,
‘এর পেছনে স্বার্থান্বেষী মহলের দুরভিসন্ধি ও হীন উদ্দেশ্য রয়েছে। সাজানো এ মামলা সাংবাদিকদের সামাজিকভাবে অপদস্ত ও হেয় প্রতিপন্ন করা অপচেষ্টার অংশ।’
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন,
‘চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ সবসময় যে কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঠিক চিত্র দেশবাসীর কাছে তুলে ধরেছে এই সাংবাদিকরাই।
রক্তস্নাত একটি আন্দোলনের পর দেশের মানুষ যেখানে একটি নতুন বাংলাদেশ এর স্বপ্ন দেখছে, সেখানে মিথ্যা ও উদ্ভট নানা অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের মামলার আসামী করার ঘটনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে।’
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ ধরণের সাজানো মামলা থেকে সাংবাদিকদের নাম প্রত্যাহার এবং ষড়যন্ত্রকারী মহলকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন,
‘অন্যথায় সাংবাদিক সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।’