বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এই ডিম আমদানির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমদানি-রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর ১২টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। আর ৭ অক্টোবর সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অনুমতি বলবৎ থাকবে। দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে বলে মনে করা হয়।
সরকার ডিম আমদানির ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে-
- প্রথম শর্তটি হলো- এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু-মুক্ত দেশগুলো থেকে ডিম আমদানি করতে হবে।
- দ্বিতীয়ত, ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত থাকার সনদ দাখিল করতে হবে।
- তৃতীয়ত, প্রতিটি চালানের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
- চতুর্থত, অনুমতি পেলে সাত দিন পরপর এ-সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, লাগামহীন ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ১৫ সেপ্টেম্বর কৃষি বিপণন অধিদফতর ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দিয়েছিল।
সে অনুযায়ী প্রতিটি ডিমের দাম-
- উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা,
- পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও
- খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) বিক্রি হওয়ার কথা।
এতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে না এলে দুই দফায় ডিম আমদানির অনুমতি ও গত ১৭ অক্টোবর ডিম আমদানিতে কর ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেদিন ডিমের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই সাথে ডিমের দাম কমাতে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বাজার মনিটরিং, বিভিন্ন বাজারে ডিম ব্যবসায়ীদের বৈঠকও করা হয়।
এছাড়াও ভারত থেকে ডিম আমদানি ও আমদানি শুল্ক হ্রাসসহ নানা নাটকীয়তার পর কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে ডিমের বাজারে।
বর্তমানে প্রতিডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়।