বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুত পুনর্বাসন কার্যক্রম চালু করা হবে। এছাড়াও, পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দও রয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, খামারি ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি নিরূপণ করে ব্যাংক, এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিয়ে একটি কার্যকর পুনর্বাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা।
তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণ শেষ হওয়ার পরই জনস্বাস্থ্যসহ অন্যান্য কাজের দিকে নজর দেওয়া হবে। বন্যায় পানিবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় এখন জনস্বাস্থ্য অগ্রাধিকার পাচ্ছে। অনেক ইউনিয়ন এখনো পানিবন্দি, সেখানে শুকনা ও রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
ফেনীসহ দুর্গম এলাকাগুলোতে নৌকার অভাব থাকায় বানভাসি মানুষের কাছে পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে, তবে সরকার ও তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টায় ত্রাণ বিতরণ দ্রুততর করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবীদের আন্তরিক সহায়তা সরকারের জন্য বড় শক্তি হিসেবে কাজ করেছে এবং বন্যার্তদের সেবা পৌঁছানো সহজ হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে তাদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া, আংশিক ক্ষতিগ্রস্তরা ইতোমধ্যে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে উপদেষ্টা জানান।