পেট ভরা অনুভূতির জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি উপাদান, যেমন প্রোটিন, আঁশ, এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি। এগুলো ধীরে হজম হয় এবং পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে। মার্কিন পুষ্টিবিদ অ্যালিসা স্মোলেনের মতে, যেসব খাবারে এই পুষ্টি উপাদান কম, সেগুলো দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে পারে না। একইসঙ্গে ম্যাগি কনেলি বলেন, আঁশ কম এমন কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার দ্রুত ক্ষুধা বাড়ায়।
নিচে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো খেলে পেট তৃপ্ত থাকে না:
- কেক ও বিস্কুট: এগুলোতে পুষ্টি উপাদান কম থাকে, ফলে খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই আবার ক্ষুধা লাগে। লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবারগুলো শরীরে দ্রুত শর্করা বাড়ায়, যা ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। তবে পূর্ণ শস্য ও বাদাম দিয়ে তৈরি করা হলে তৃপ্তি বেশি সময় ধরে থাকে।
- ফলের রস: ফলের রসে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ থাকে, কিন্তু আঁশের অভাব থাকে। ফলে এটি দ্রুত হজম হয়ে যায়। আস্ত ফল খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে।
- সাদা রুটি: প্রক্রিয়াজাত ময়দা দিয়ে তৈরি সাদা রুটি দ্রুত হজম হয়ে যায় এবং আঁশের অভাবে ক্ষুধা বেড়ে যায়।
- ক্যান্ডি ও চকলেট: খাওয়ার পর তাৎক্ষণিক তৃপ্তি দেয়, কিন্তু আঁশ না থাকায় এটি দ্রুত হজম হয় এবং রক্তে শর্করা দ্রুত বেড়ে কমে যায়, ফলে ক্ষুধা তাড়াতাড়ি লাগে।
- আলুর চিপস: মুখরোচক হলেও এটি বারবার খেতে ইচ্ছা হয়, এবং অধিক খাওয়ার প্রবণতা তৈরি করে। তাছাড়া এসব চিপসে থাকা চর্বি সাধারণত স্বাস্থ্যকর নয়।
- অ্যালকোহল: মদ্যপানে যকৃৎ দ্রুত বিপাকীয় কার্যক্রম শুরু করে, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, এবং ক্ষুধার অনুভূতি বেড়ে যায়।
- সাদা ভাত: সাদা রুটির মতোই সাদা ভাত দ্রুত হজম হয়ে যায়, ফলে আবার ক্ষুধা লাগে। বাদামি চালের ভাত খাওয়া বেশি উপকারী।
- কৃত্রিম মিষ্টি: যদিও ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে, কিন্তু কৃত্রিম মিষ্টি মস্তিষ্ককে বিভ্রান্ত করে এবং ক্ষুধা অনুভূতি জাগিয়ে রাখে।
- ডিমের সাদা অংশ: এতে প্রোটিন থাকলেও স্বাস্থ্যকর চর্বি ডিমের কুসুমে থাকে। কুসুম ছাড়া ডিমের সাদা অংশ খেলে ক্ষুধা তাড়াতাড়ি লাগে, তাই আস্ত ডিম খাওয়াই ভালো।