আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার পর বিচার হতে হবে। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়েছে।
করিম খান বলেন, এটা দেখানো গুরুত্বপূর্ণ যে আদালত যুদ্ধাপরাধের ক্ষেত্রে সব দেশকে একই মানদণ্ডে ধারণ করবে। তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরোধিতা বাদ দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের নতুন সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নতুন সরকারের তরফ থেকে সুরের পার্থক্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের বিষয়ে আমি মনে করি এটা স্বাগত জানানো।’
করিম খান আদালতে হামাসের তিন নেতার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন। এদের মধ্যে দুজন নিহত হয়েছে।
বিস্তৃত সাক্ষাৎকারে প্রধান কৌঁসুলি বলেছেন, আইসিসিকে উভয় পক্ষের নেতাদের জন্য পরোয়ানার আবদন করার প্রয়োজন ছিল, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে, বিশ্বজুড়ে লোকদের মনে হয়, আদালত ‘কিছু সাধারণ মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে সমানভাবে আইন প্রয়োগ করছে।’
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ গাজার জন্য নয় বরং ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানার জন্য আবেদন করে, (কেউ কেউ) বলত: আচ্ছা, এটি অশ্লীলতা এবং পৃথিবীতে এটি কীভাবে সম্ভব?’
করিম খান বলেন, ‘যেসব দেশের পেছনে সমর্থন আছে, সেটা হোক ন্যাটোর সমর্থন, ইউরোপীয় সমর্থন (এবং) আপনার পেছনে থাকা শক্তিশালী দেশগুলোর সমর্থন এবং যেখানে আপনার সুস্পষ্ট এখতিয়ার আছে সেখানে একটি ভিন্ন পদ্ধতি থাকতে পারে না।’
মে মাসে করিম খান জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দেইফ ও ইসমাইল হানিয়াহ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। তাদের বিচারের জন্য তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছিলেন আদলতে।
অবশ্য এর পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন ‘আপত্তিকর’।