মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই) ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ তালিকায় থাকা দেশগুলো প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সহযোগিতা করে না।
সংস্থাটি জানিয়েছে,
এই দেশগুলো সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সময়মতো ভ্রমণ নথি ইস্যু করা এবং নির্ধারিত ফ্লাইটে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
আইসিই’র তালিকা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে ১৮ হাজার ভারতীয় অভিবাসী রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক করা হয়েছে।
যদিও অনেক ভারতীয় অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অবস্থান বৈধ করার চেষ্টা করছেন, তবে এই প্রক্রিয়ায় দুই-তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে হন্ডুরাস, যাদের ২ লাখ ৬১ হাজার অবৈধ অভিবাসী রয়েছে দেশটিতে।
এশিয়ার মধ্যে চীন ৩৭ হাজার ৯০৮ জন অভিবাসী নিয়ে শীর্ষে। ভারত রয়েছে ১৩তম স্থানে।
আইসিই এর তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকালে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে আটক করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই পাঞ্জাব, গুজরাট এবং অন্ধ্রপ্রদেশের।
ভারতীয় অনেক অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে বৈধতার পাওয়ার চেষ্টা করলেও প্রক্রিয়াটি বেশ সময়সাপেক্ষ। কেননা, বৈধতার আবেদনেই সাধারণত দু-তিন বছর সময় লেগে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী এক মাসের মধ্যে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসন নীতি কঠোর করার অঙ্গীকার করেছিলেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বৃহত্তম প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া পরিচালনার পরিকল্পনা করেছেন। ফলে চূড়ান্ত আদেশপ্রাপ্ত হাজার হাজার ভারতীয় অভিবাসীকেও ফেরত পাঠানো হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ভারত-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কেও চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এর মধ্যে আরও খারাপ খবর পেয়েছে ভারত। দেশটিকে দেওয়া সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের (এমএফএন) মর্যাদা বাতিল করেছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড।
এর ফলে দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।