কুসুম গরম পানিঃ উপকারিতা ও অপকারিতা

Last modified: May 3, 2025

স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই নিয়মিত কুসুম গরম পানি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। নিয়মিত কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাসে অনেক সমস্যার সমাধান মেলে। 

স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই নিয়মিত কুসুম গরম পানি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে।
নিয়মিত কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাসে অনেক সমস্যার সমাধান মেলে। 

শীতের এই হিমেল ঋতুতে গরম পানির ব্যবহার বেড়ে যায়। শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বা অজু-গোসলের অথবা খাবার পানি গরম না থাকলেই নয়।

কিন্তু মেডিকেল সাইন্স অনুযায়ী কুসুম গরম পানি বলতে আমরা কি বুঝি যা স্বাস্থ্যসম্মত অথবা আরামদায়ক অনুভূতি তৈরি করে, নিদেনপক্ষে শরীর এবং ত্বকের কোনো ক্ষতি করে না?

আসলে ত্বক আমাদের প্রাকৃতিক একটি থার্মোমিটার হিসেবে কাজ করে। শীতকালে অথবা গরমকালে পারিপার্শ্বিক আবহাওয়ার তাপমাত্রা আমাদের শরীর সার্বক্ষণিক মেপে চলে।

সরল ও সাধারণ ভাষায়,

  • যখন শরীর থেকে শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপের চেয়ে অধিক পরিমাণে তাপ হারায় তখনই আমরা ঠান্ডা অনুভব করি।
  • যখন শারীরবৃত্তীয় পরিধির মধ্যে তাপ হারায় তখন আমরা আরামদায়ক অনুভূতি বোধ করি এবং
  • পারিপার্শ্বিক পরিবেশের তাপমাত্রা আমাদের শরীরের চেয়ে বেশি হলে আমরা গরম অনুভব করি।

ব্যবহারের পানি কুসুম গরম এর বেশি হলে চামড়ায় উপকারী তৈলের আস্তরন ধুয়ে যায় এতে ত্বকের বিভিন্ন মেয়াদের ক্ষতি হয়।

অপরদিকে সার্বক্ষণিকভাবে গরম পানি পান করলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়।
তারমধ্যে প্রধানত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষেত্রবিশেষে মুখ্য খাদ্য নালীর পুড়ে যাওয়ার মত দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে।

কুসুম গরম পানিঃ উপকারিতা ও অপকারিতা

বর্তমানে কিচেন থার্মোমিটার নামে বাজারে এক ধরনের থার্মোমিটার পাওয়া যায়, সেটি ব্যবহার করে সঠিক তাপমাত্রার কুসুম গরম পানি বা ঈষদুষ্ণ গরম পানি তৈরি করে ব্যবহার করতে পারি।

বে আমরা অনেকেই কুসুম গরম পানি পান করার উপকারিতা জানি না। এ জন্য হয়তো পান করিনা।
তবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেবে এই কুসুম গরম পানি।

আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে খেতে পারেন কুসুম গরম পানি। কুসুম গরম পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
এছাড়াও একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার সহজ সমাধান হল কয়েক গ্লাস কুসুম গরম পানি।

পুষ্টিবিদদের মতে, গরম পানি খেলে পেট পরিষ্কার থাকে। পেট পরিষ্কার থাকলে শরীরে কোনো রোগ সহজে বাসা বাঁধতে পারে না।

আর পেট পরিষ্কার থাকলে ত্বকও থাকে ঝকঝকে, উজ্জ্বল থাকে।

প্রতিদিন সকালে, খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে যদি এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খান তবে বদহজম, অম্বলের মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

এছাড়া শরীর দ্রুত ডিটক্স হয়ে যায়। ত্বকে জমাট বাধা তেল, ধুলোবালি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
পেট পরিষ্কার থাকলে ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যা থেকেও সহজেই দূরে থাকা যায়।

এখন প্রশ্ন হল কুসুম গরম পানির তাপমাত্রা কত?

  • ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর চেয়ে নিচে পানির তাপমাত্রা হলে আমরা ওই পানিকে ঠান্ডা পানি বলি
  • আর ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রার পানি কে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি বলি।
  • ৯৯ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট অথবা ৩৭ থেকে ১০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানিকে আমরা কুসুম গরম পানি বলি।

আসুন, এই শীতে সঠিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করে আরামদায়ক জীবন যাপন করি, সুস্বাস্থ্য রক্ষা করি ও ত্বকের সঠিক যত্ন নেই।

একই সঙ্গে বিভিন্ন মেডিকেল ও অগ্নি দুর্ঘটনা রোধ করি এবং বাড়তি জ্বালানি খরচ ও পরিবেশ দূষণ কমাই।

Post date: September 4, 2024

Last modified: May 3, 2025