ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

Last modified: March 3, 2025

ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই আদেশের ফলে সরকারি সংস্থা ও ফেডারেল তহবিল পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোগুলো ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষাতেও নথি ও সেবা চালিয়ে যাবে কিনা, সে ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। রোববার (২ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এদিকে ট্রাম্পের নতুন এই নির্বাহী আদেশ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের একটি আদেশ বাতিল করে দিয়েছে। আগের আদেশে, সরকার ও ফেডারেল তহবিল পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ইংরেজি না জানা ব্যক্তিদের ভাষা সহায়তা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

আদেশে বলা হয়েছে, “ইংরেজিকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হলে তা কেবল যোগাযোগকেই সহজতর করবে না, বরং অভিন্ন জাতীয় মূল্যবোধকেও শক্তিশালী করবে। আরও সুসংহত ও দক্ষ সমাজ গঠনেও এটি সহায়ক হবে। নতুন আমেরিকানদের মাধ্যমে, আমাদের জাতীয় ভাষা শেখার ও গ্রহণকে উৎসাহিত করার নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে এবং আমেরিকান স্বপ্ন অর্জনে নতুন নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করবে।”

নতুন আদেশে উল্লেখ করা হয়, “নতুন আমেরিকানদের স্বাগত জানানো এবং জাতীয় ভাষা শেখা ও গ্রহণকে উৎসাহিত করার নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে একটি অংশীদারিত্বমূলক দেশে পরিণত করবে। ইংরেজি জানা শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় না, এটি নতুনদের সমাজে সম্পৃক্ত হতে, জাতীয় সংস্কৃতিতে অংশ নিতে এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে সাহায্য করে।”

ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করা সংগঠন ইউএস ইংলিশের হিসাব অনুযায়ী, ৩০টিরও বেশি অঙ্গরাজ্য ইতোমধ্যে আইনগতভাবে ইংরেজিকে তাদের অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছে।

গত জানুয়ারি মাসে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন প্রশাসন হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের স্প্যানিশ ভাষার সংস্করণটি সরিয়ে নেয়। হোয়াইট হাউস সে সময় জানিয়েছিল, ওয়েবসাইটটির স্প্যানিশ ভাষার সংস্করণটি আবার অনলাইনে ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা।

যদিও এখনও পর্যন্ত তা পুনরায় চালু করা হয়নি। শেষমেষ আসলেই তা করা হবে কিনা সে বিষয়ে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্যও করেনি। এর আগে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ওয়েবসাইটটির স্প্যানিশ সংস্করণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরে ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথের সময় এটি ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।

মার্কিন সেন্সাস ব্যুরো অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪ কোটি বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেন। এর মধ্যে ১৬০টিরও বেশি নেটিভ আমেরিকান ভাষা রয়েছে। সেন্সাস ব্যুরো অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে ইংরেজির পরে সবচেয়ে বেশি কথ্য ভাষাগুলোর মধ্যে স্প্যানিশ, বিভিন্ন চীনা ভাষা এবং আরবি রয়েছে।

Post date: March 3, 2025

Last modified: March 3, 2025